সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়।সরিষার তেলে বিদ্যমান থাকা গুকোসিনোলেট উপাদান থাকে,যা মূলত অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান হিসেবে পরিচিত।
সরিষার তেলে থাকা বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান ভিটামিন,মিনারেল আমাদের চুলের অকালে পেকে যাওয়া রোধ করে এবং চুল কালো রাখতে সাহায্য করে।তাই সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃনিজের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সরিষার তেল ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি রন্ধন ও ত্বক চর্যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সরিষার তেল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় ভোজ্য তেল।সরিষার তেলে বিদ্যমান রয়েছেঃ-ওমেগা-৩,ওমেগা-৬, ফ্যাটি অ্যাসিড, অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন 'ই' যা আমাদের শরীর ও হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।সরিষার তেল ব্যবহারে সরিষার তেলে থাকা বিদ্যমান মনো-ও, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা আমাদের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
সরিষার তেলে থাকা সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।আর্থ্রাইটিস অথবা অন্যান্য বাতজনিত সমস্যা এটি অনেক কার্যকরী।সরিষার তেলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ানোর গুণ আছে যা,আমাদের শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধ সহায়ক। এছাড়াও সরিষার তেল ব্যবহারে চুল মজবুত হয় খুশকি কমে এবং চুল পড়া রোধ হয়। এতে প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্ষত সারাতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃমাথার উকুন দূর করার উপায়
এছাড়াও সরিষার তেল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা কমায়।এটি রান্নায় ব্যবহার করলে খাবারে অনন্য সাধ ও গন্ধ যুক্ত হয়।প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় সরিষার তেল এখনো গ্রাম অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মাঝে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সরিষার তেল উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নার জন্য উপযুক্ত এজন্য ভাজাবুজি বা তেলে রান্না ভালো হয়। অন্যদিকে এটি আবার খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সরিষার তেল খেলে কি হয়
সরিষার তেল খেলে শরীরের জন্য নানান উপকার হয়। হয় কারণ এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান গুলো আমাদের শরীরের ও স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অনেক সাহায্য করেন। সরিষার তেলে ওমেগা-৩,ফ্যাটি অ্যাসি্ড,
মনোঅ্যানস্যাচুরেটেড, ভিটামিন'ই' ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি আমাদের শরীরের রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল পরিমান কমে ভালো করে পরিমাণ বাড়ায় যার ফলে আমাদের শরীর ও হার্ট সুস্থ থাকে।
এছাড়াও এটি আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং গ্যাস ও বদ হজমের সমস্যা কমায়। সরিষার তেল রক্তের প্রবাহ ভালো রাখে যার ফলে শরীরের কোষ গুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়। তবে সরিষার তেল অতিরিক্ত খাওয়া একদম উচিত নয় কারণ এতে কিছু পরিমাণে এরুকিক এসিড থাকে যা বেশি হলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তাই পরিমিত মাত্রায় সরিষার তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য লাভজনক। তাই সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা উচিত।
সরিষার তেল চুলে দিলে কি উপকার হয়
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে,সরিষার তেল চুলে দিলে কি কি উপকার পাওয়া যায়।সরিষার তেল মূলত বহু প্রাচীনকাল থেকেই উপমহাদেশে চুল ও ত্বকের যত্নে ব্যবহার হয়।এটি মূলত একটি প্রাকৃতিক তেল যা সরিষা বীজ থেকে তৈরি হয় এবং এতে থাকা বিদ্যমান উপাদানগুলো মানে আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা যেসব উপাদান গুলো বলেছি এ উপাদানগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চুলের যত্ন অনেক কার্যকরী।
সরিষার তেল মাথায় দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।তবে এ বিষয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচি।।প্রথমত সরিষার তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়।এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় যার ফলে চুলের গ্রোধ বৃদ্ধি পায় এবং নতুন গজাতে সাহায্য করে।এছাড়াও চুল পড়া কমায় এবং চুল মজবুত করে তোলে।সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বকে খুশকি ও অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে অনেক কার্যকারী সহায়ক।
সরিষার তেলের অপকারিতা
সরিষা তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে,সরিষার তেল যেমন উপকারিতায় ভরপুর ঠিক তেমনি কিছু অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান রয়েছে। বিশেষ করে যদি তা অতিরিক্ত বা ভুল উপায় ব্যবহার করা হয় সেক্ষেত্রে। নিচে সরিষার তেলের কিছু সাধারণ অপকারিতা তুলে ধরা হলো।
এলার্জি ও তোকে জ্বালাপোড়াঃ আমাদের অনেকের ত্বক সরিষার তেলের প্রতি সংবেদনশীল। ত্বকে সরিষার তেল লাগালে চুলকানি লালচে ভাব ফুসকুড়ি অথবা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
বিশেষ করে তা যদি সংবেদনশীল অথবা শুকনো ত্বক হয়।গরম প্রকৃতির সমস্যাঃ সরিষার তেল গরম প্রকৃতির হওয়ায় শরীরে অতিরিক্ত গরমভাব তৈরি করতে পারে।সম্ভবত এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মাথা ব্যথা শরীর গরম হয়ে যাওয়া বা অজানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। দ্য হিসেবে অতিরিক্ত গ্রহণের সমস্যাঃ অনেকেই রান্নায় বেশি পরিমাণে সরিষার তেল ব্যবহার করেন যা হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।এতে উপস্থিত এরুকিক এসিড বেশি পরিমাণে শরীরে চলে গেলে এটি হৃদপেশীতে প্রভাব ফেলতে পারে
এবংদীর্ঘমেয়াদে কার্ডিয়াক সমস্যা তৈরি করতে পারে। শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারেঃ শিশুদের ত্বক মূলত অনেক বেশি নরম ও সংবেদনশীল। সরিষার তেলের তীব্রতা তাদের ত্বকের জ্বালাপোড়া বা রেস তৈরি করতে পারে। অনেক সময় তেল ব্যবহারের পর শিশুরা ঠান্ডা লেগে যায় কারণ এটি শরীরে ঘাম তৈরি করে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি বাড়ায়।যদিও সরিষার তেল অনেক উপকারী তবে এর অপকারিতা অস্বীকার করা যায় না।তাই আমরা একটি ব্যবহারের আগে নিজের শরীর ও ত্বক সম্পর্কে জেনে তারপর পরিমাণ মতো ব্যবহার করব।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,আজকের আলোচনার বিষয় ছিল সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আপনারা যারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।লেখক কে বিভিন্ন জায়গা থেকে ইনফরমেশন কালেক্ট করে তারপর লিখতে হয় এইজন্য ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন এবং এই বিষয়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানিয়ে যাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url